শাহিন আহমদ,সিলেট প্রতিনিধি : আজ (২১ এপ্রিল বুধবার) সকালে বাড়ির পাশে রাখা লাকড়ির মাছার নীচ থেকে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ওই গৃহবধূ উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের জামবাগ (জৈতাপুর) গ্রামের দিনমজুর শাহনুর মিয়ার স্ত্রী। সকালেই ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছেন (এ এস পি তাহিরপুর র্সাকেল) বাবুল আক্তর, ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার ও বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ রাজিবুল ইসলাম। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও নিহত গৃহবধূও পারিবার সূত্রে জানাযায়, গত রবিবার ৫ বছরের এক ছেলে ২ বছরের এক মেয়েসহ ওই গৃহবধূ আজমিনাকে বাড়িতে রেখে স্বামী শাহনুর ও তার দেবর মিজানুর(২২) ধান কাটতে র্পাশ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলা রাজাপুর গ্রামে যায়। প্রতিদিনের মতোর গতকাল ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিহত গৃহবধূর ঘরে তার ১০ বছরের ননদ ও ছেলে মেয়েসহ ঘুমিয়ে ছিল। পরে রাত ২টার দিকে হঠাৎ নাতির কান্নাকাটি ও চিৎকার শোনে পাশের ঘর থেকে আজমিনার শ্বশুর আমিরুল ইসলামসহ সবাই এসে ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরে গিয়ে নাতিকে জিজ্ঞাস করলে তার মা নেই বলে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে শ্বশুর সহ পরিবারের লোকজন বাড়ির আশপাশসহ আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে সারা রাত খোঁজা খোঁজি করার পরে আজ বুধবার ভোর সকালে গৃহবধূর শুশুড় আমিরুল ইসলাম তাদের বসত ঘরের পাশে লাকড়ির রাখার মাছার নিচ খড়কুটু দিয়ে ডাকা অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর থানা পুলিশকে খবর দিলে সকাল সাড়ে ৭ টায় ঘটনার স্থলে গিয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
এব্যপারে নিহত আজমিনার স্বামী বলেন, আমি আর আমার ভাই গ্রামের লোকের সাথে রববারে(রবিবার) রাজাপুর ধান কাটতে গেছিলাম। আজ সকালে ফোনে আব্বা আমারে জানালে আইসা দেখি আমার এই সর্বনাশ। আমার বৌ গ্রামের কারো সাথে কোন ঝগড়া ঝামেলা নাই।
এর সত্যাতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর মাথায় আর ডান গালে আঘাতের চিহ্ন ও গলায় কালো দাগ। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাজনিত ঘটনা। নিহতের পরিবারের কোন কোন অভিযোগও নাই। তবে তা উদঘাটনে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন :হেফাজতে ইসলামের সিলেটের নেতাদের উপর কড়া নজরদারি রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী